ক) তথ্য প্রযুক্তি অবকাঠামো নির্মাণঃ
১। ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রকল্প’-এর মাধ্যমে এ জেলার ৫৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয় যেখানে প্রতিটি ল্যাবে ১৭টি ল্যাপটপ, ০১টি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ০১টি প্রিন্টার, ০১টি স্ক্যানার, পকেট রাউটার, ১৭টি টেবিল-চেয়ার সরবরাহ করা হয়েছে।
২। বাংলাগভঃনেট প্রকল্প ও ইনফো সরকার-২ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার জেলা পর্যায়ের ৫৬টি ও উপজেলা পর্যায়ের ২৫৮টি অফিসসহ মোট ৩১৪টি অফিসে Access Router এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ০১টি, ০৯ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে-০৯টি, পিটিআই-০১টি, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে-০১টিসহ মোট ১২টি ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়।
৩। ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার ৩৫টি ইউনিয়ন পরিষদে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ ও পুলিশের ১৮টি অফিসে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে।
৪। কানেক্টেড বাংলাদেশ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৬টি চর ও দূর্গম ইউনিয়ন পরিষদে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
৫। ‘সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে আইসিটি প্রশিক্ষণ ও অবকাঠামো স্থাপন’ কর্মসূচির আওতায় ফুলবাড়ী উপজেলার দাশিয়ারছড়া বিলুপ্ত ছিটমহলের দাশিয়ারছড়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠের ১৫ শতক জমিতে প্রায় ৮৮লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৩০০০ স্কয়ারফুট একতলা বিশিষ্ট Digital Service Employment & Training Center (D-SET) স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
৬। বিটিসিএল এর মাধ্যমে ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।
খ) তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ মানবসম্পদ উন্নয়নঃ
১। ‘সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে আইসিটি প্রশিক্ষণ ও অবকাঠামো স্থাপন’ কর্মসূচির আওতায় ফুলবাড়ী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলের ৩০০জন যুবক-যুবতীকে বেসিক আইসিটি ও আইটি সাপোর্ট টেকনিশিয়ান কোর্সে যথাক্রমে ১২ দিনের ও ৭৮ দিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
২। লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের ৪০ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রোফেশনাল আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ প্রদানের অংশ হিসেবে কুড়িগ্রাম জেলায় ৭২০ জনকে ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন ও ওয়েব ডিজাইনের উপর ২০০ঘন্টা ব্যাপী অনলাইনে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
৩। শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীগণ বেসিক আইসিটি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে।
৪। স্থানীয় অনেক ট্রেনিং ইন্সটিটিউট ০৩ মাস, ০৬মাসের বিভিন্ন কোর্সসহ গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স পরিচালনা করছেন।
গ) আইটিশিল্পের রপ্তানিমুখী বিকাশঃ
১। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সারাদেশে হাই-টেকনোলজি পার্ক, সফট্অওয়্যার টেকনোলজি পাকসহ শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে।
ঘ) জনবান্ধব তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার (ই-গভর্নেন্স):
১। এ জেলার ৭৩টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভায় ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে মাসে … সেবা এবং এ পর্যন্ত …সেবা ও গড়ে প্রতিদিন …সেবা দেওয়া হচ্ছে।
২। করোনা মহামারীর সময়ে CAMS সফট্ওয়্যারের মাধ্যমে ৫০লক্ষ পরিবারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার ২৫০০/- টাকা করে মোবাইল ব্যাংকিং একাঊণ্টের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। এর আওতায় কুড়িগ্রাম জেলার উপকারভোগীর সংখ্যা ছিল ৯০ হাজার জন।
৩। ইলেকট্রনিক নথি বা ই-নথি অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে দাপ্তরিক নথি কার্যক্রম ভার্চুয়ালি সম্পন্ন করা হচ্ছে। জেলা পর্যায়ের ৫১টি ও উপজেলা পর্যায়ের ৭০টি অফিসসহ মোট ১২১টি অফিস ই-নথির সার্ভারে যুক্ত রয়েছে। বাকী অফিসগুলোকে ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা হয়েছে। অতিশীঘ্রই তারা লাইভ সার্ভারে যুক্ত হবে।
৪। মন্ত্রণালয় হতে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সরকারি অফিসের তথ্য বাতায়নের সংখ্যা ৩৩১৬৮টি। কুড়িগ্রাম জেলায় জেলা পর্যায়ে ৬৮টি , ০৯টি উপজেলা ও ৭৩টি ইউনিয়ন মিলে মোট ৪২৯টি অফিসের তথ্য বাতায়ন বা ওয়েবসাইট রয়েছে। যার মাধ্যমে নাগরিকগণ তথ্য ও সেবা পাচ্ছে।
৫। মোবাইল কোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে খুব সহজে ও দ্রুততার সাথে অনলাইনে এবং প্রয়োজনে অফলাইনে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ মোবাইল কোর্টের সকল কার্যক্রম যেমনঃ অভিযোগনামা দায়ের, জব্দতালিকা প্রস্তুত, অভিযোগ গঠ্ন, জবানবন্দি গ্রহণ ও আদেশ প্রদান করতে পারবেন। এই সিস্টেমের মাধ্যমে নাগরিকগণ অনলাইনে সরাসরি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণকে বিভিন্ন অপরাধের বিষয়ে অবহিত করতে পারবেন। www.ecourt.gov.bd
৬। ইলেকট্রনিক ল্যান্ড রেকর্ড সিস্টেম বা ELRS এর মাধ্যমে অনলাইনে জমির পর্চার আবেদন ডিজিটাল সেন্টার থেকে গ্রহণ করা হত যা বর্তমানে ই-পর্চা হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস